আক্তার হোসেন আলহাদীঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের শেষ ধাপের নির্বাচন আগামী ১৫ জুন। নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৬৬ জন প্রার্থীর মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।শুক্রবার (২৭ মে) সকাল ১০টা থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আরমান ভূঁইয়া উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থীদের মধ্যে এ প্রতিক বরাদ্দ ঘোষণা করেন।প্রতিক পেয়ে প্রার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন গাড়িতে চড়ে মিছিল করে, বাঁশি বাজিয়ে ইউনিয়নবাসীকে নিজ প্রতিকের প্রচার করেন। আবার কোন কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী মার্কা পেয়ে ইউনিয়নবাসীকে আকৃষ্ট করার জন্য আনন্দে মোটরসাইকেল শোডাউনও করেছেন।এভাবেই দিনব্যাপী এক উৎসবমুখর পরিবেশে সারা ইউনিয়ন ঘুরছেন প্রার্থীরা। অনেক প্রার্থী প্রতিক পেয়েই হাটে-বাজারে, ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যানার, পোস্টার সাটাতে দেখা গেছে। কেউ কেউ প্রতিক পেয়ে ব্যানার, পোস্টার তৈরি করতে ব্যস্ত এখন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে (নৌকা) প্রতিক পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ রেখাছ মিয়া। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনোয়ার হোসেন (মোটরসাইকেল), শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন (আনারস) ও অপর প্রার্থী ইত্তেহাদ হোসেন মুবিন পেয়েছেন (ঘোড়া) প্রতিক। এসময় ৯টি ওয়ার্ডের মেম্বার ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীদের মাঝেও প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়।অপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফেজ মোকাম্মিল হোসেন মিলাদ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আরমান ভুঁইয়া বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর প্রত্যেক প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে প্রচার প্রচারণা ও গণসংযোগ চালাতে পারবেন। যদি কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী আগামী ১৫জুন বানিয়াচং উপজেলার ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।উল্লেখ্য, আগামী ১৫ জুন বানিয়াচং ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১৯ হাজার ৫শ ১১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৬শ ৭১ এবং মহিলা ভোটার ৯ হাজার ৮শ ৪০ জন।এ নির্বাচন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।