বানিয়াচংয়ে ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং, ভূগান্তি চরমে।
দিলোয়ার হোসাইন : বানিয়াচংয়ে মানা হচ্ছে না এলাকা ভিত্তিক বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ের নির্দেশনা। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। দিনে কয়েক দফায় ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। টানা বিদ্যুৎ সংকট আর তীব্র গরমে চরম ভোগান্তির মধ্যে বিদ্যুত গ্রাহকসহ শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পল্লী বিদ্যুত সমিতি (আরইবি) কোম্পানির মাধ্যমে বানিয়াচং উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এই কোম্পানির মাধ্যমে উপজেলার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ মিলছে অর্ধেকেরও কম। বৃহস্পতিবার এই কোম্পানির আওতায় মোট বিদ্যুৎ বরাদ্দ পাওয়া যায় মাত্র ৩ মেগাওয়াট। এজন্য এক থেকে দুই ঘণ্টার পরিবর্তে ৫থেকে ৬ ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। প্রতি এক ঘণ্টা পর এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং চলছে উপজেলা সদরে। তবে উপজেলা সদরের বাইরে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও খারাপ। এসব এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় অর্ধেকের কম বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়ায় এলাকা নির্ধারণ করে ক্রমান্বয়ে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি বিদ্যুৎ বিভাগের।
দিঘীরপাড় এলাকার সাবেক মেম্বার কমরুজ্জামান কাজল বলেন, এলাকা ভিত্তিক এক থেকে দুই ঘণ্টার কথা বলা হলেও ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। বৃহস্পতিবার থেকে দিনে ৭ থেকে ৮ বার বিদ্যুতের লোডশেডিং হয়েছে।
কাজীমহল্লা গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী শান্ত মিয়া বলেন, তীব্র গরম আর বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে ঘরে থাকা যায় না। ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছি। সামনেই আমাদের এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষার আগে এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবো। বানিয়াচং জোনাল অফিসের ডিজিএম পারভেজ ভূইয়া বলেন, সারা দেশের মত আমরাও চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। উপজেলা বর্তমানে দিনে ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিন্তু বৃহস্পতিবার বরাদ্দ মিলছে মাত্র ৩ মেগাওয়াট। তাই এক থেকে দুই ঘণ্টা করে এলাকা ভিত্তিক বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের নির্দেশনা মানা যাচ্ছে না।