শাহ সুমনঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মাকালকান্দি গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। শুধূমাত্র হিন্দু অধ্যূষিত গ্রাম হওয়ার কারণে টার্গেট করে পাকবাহিনী কর্র্তৃক নির্বিচারে হত্যা, লুন্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করে গ্রামবাসীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিলো। ১৯৭১ সালের ১৮ আগস্ট মনসা পূজার এই দিনটিকে বর্বরোচিত হত্যার জন্য বেছে নিয়েছিলো পাকবাহিনী। হত্যা,লুন্ঠন,অগ্নিসংযোগ করে একটি আনন্দের দিনকে চিরদিনের জন্য বেদনাদায়ক করে দিয়েছে।পাক-হানাদার বাহিনী মাকালকান্দি ও পার্শ্ববর্তী কাগাপাশা-নজিপুরে নীরিহ গ্রামবাসীর উপর হামলা করে। নির্বিচারে হত্যাকান্ড চালিয়ে মাকালকান্দি গ্রামেই শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছিলো। ১৯৭১ সালের শহীদদের স্মরণে বানিয়াচং উপজেলার ৬ নম্বর কাগাপাশা গ্রামের মাকালকান্দি ও নজিপুর গ্রামে দুটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে ১৮ আগস্ট কে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন মাকালকান্দি গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করছে।স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভ করার পর থেকে গ্রামবাসী প্রতি বছরই দিবসটি পালন করে থাকেন। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) মাকালকান্দি গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেছেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামীলীগ, বানিয়াচং থানা প্রশাসন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, স্থানীয় শহীদ পরিবারের লোকজন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। বানিয়াচং উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ‘র সভাপতিত্বে ও শহীদ পরিবারের সন্তান সুপ্রাজিত চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন মাষ্টার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন, হাসিনা আক্তার, বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ আলী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ, সুপ্রাজিত চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হোসেন খান মামুন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ ইয়াছিন, গ্রামবাসীর পক্ষে স্মৃতিচারণ করেন প্রত্যক্ষদর্শী প্রাণগোপাল দাশ প্রমূখ।