শাহ সুমন ঃ এসএসসি পরীক্ষা-২০২২ সালের ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে।হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে এসএসসি‘র সদ্য ঘোষিত ফলাফলে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চমক দেখিয়েছেন ১১ জন শিক্ষার্থী।পিএসসি থেকে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে ফলাফলের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন ওরা ।ওদের প্রাথমিক ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন গরীব হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেন।পুরো উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতিতে প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেন ও তার বিদ্যালয়ের আলাদা একটা পরিচিতি রয়েছে শিক্ষার মন্নোনয়ন ও দক্ষাতার আলোকে। এসএসসি পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়া সকলেই আওলাদ স্যারের ওরা ১১ জন হিসেবে পরিচিত।২০১৬ সালের পিএসসি (প্রাথমিক স্কুল সার্টিফিকেট) পরীক্ষায় উপজেলার গরীব হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহন করে ১১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। তারা হলেন, শাফায়াত হেসেন সাফি,নাফিজ আহমেদ, নোমান আহমেদ, আফরিন আহমদ আহলাম, সিদরাতুল মুনতাহা এশা,মোছাঃ রুমা আক্তার,ইশরাত জাহান,খাদিজাতুল কোবরা,সামিহা তাসনিম প্রমা,মৌমিতা খানম অনন্যা,শান্ত হাসান মেহেদী।এরা সকলেই ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
এসএসসির ফলাফল ঘোষনার পরপরই তারা তাদের প্রিয় স্যার আওলাদ হোসেন কে ফোন দিয়ে ও দেখা করে ফলাফল ও সাফল্যের কথা জানিয়েছেন।এরপূর্বে তারা ২০১৯ সালের জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) পরীক্ষায় ও জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন।পিএসসি থেকে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে ফলাফলের ধারাবাহিকতা রাখতে পারায় শিক্ষার্থীরা আনন্দিত।এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী আফরিন আহমদ আহলাম জানান, আমরা আমাদের কৃতিত্বপূর্ণ এই ফলাফলে খুবই আনন্দিত হয়েছি। এর জন্য অবশ্যই আমাদের আওলাদ স্যারের কৃতিত্ব রয়েছে।সামিহা তাছলিম প্রমা জানান, আমাদের আওলাদ স্যার আমাদের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন বলেই আমরা ভালো ফলাফল করতে পেরেছি।
নাফিজ আহমেদ জানান, স্যার আমাদের যেভাবে শিক্ষা দিয়েছেন ইনশাল্লাহ আমরা আগামীতেও আরও ভালো ফলাফল করতে পারবো। প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেন বলেন, আমার এই শিক্ষার্থীরা আমাকে ভূলে নাই। আশা করছি এরা সামনে আরও ভালো ফলাফল করবে। যে কোন কিছুর প্রাথমিক ভিত্তিটা যদি মজবুত হয় তাহলে তার উপরে উঠা সহজ হয়ে যায়। আমি সেই কাজটিই করে থাকি।