বানিয়াচং প্রতিনিধিঃ বানিয়াচংয়ে একজন নিরীহ শিক্ষক ও তার পরিবারকে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা সহ হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ২ আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন মজলিশপুর গ্রামের অসুস্থ ও অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল মালিক। অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা হলেন বানিয়াচং উপজেলার ১ নম্বর উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের ফাতেমা ওরফে দুফরাজ বিবি, জুয়েল মিয়া, তোফাজ্জল মিয়া ওরফে আচানক। ভুক্তভোগী শিক্ষক আব্দুল মালিক জানান, ১৯৯৫ সাল থেকে ফাতেমা বেগম ওরফে দুফরাজ বিবি তার কথিত স্বামী তোফাজ্জল মিয়া ওরফে আচানক ওরফে আইনের বাক্স বলে খ্যাত লোকটির সহযোগিতায় একের পর এক মিথ্যা মামলা করেই যাচ্ছে। কিন্তু মামলাগুলো মিথ্যা হওয়ায় প্রমাণ তো দূরে থাক,উল্টো কোন মামলা নথিভুক্ত ও কোন কোন মামলা আপোষ করতে বাধ্য হয়েছে। এরপর ও মামলা দায়ের করা বন্ধ করে নাই। এ পর্যন্ত তিনজন নারী দিয়ে ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করিয়েছে। সবগুলো মামলা ছিল মিথ্যা।শিক্ষক আব্দুল মালিক ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ও দলিল জালিয়াতির মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে।শিক্ষকের পুত্র মোঃ তুহিন আলম জানান, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে ১৯৯৩ সালে আমার বাবা আব্দুল মালিক ও ফাতেমা বেগম ওরফে দুফরাজ বিবির মধ্যে বসত বাড়ির ভূমি নিয়ে একটি বিনিময় দলিল সম্পাদনা করা হয়েছিলো। কিছুদিন দলিলের বিষয়বস্তু উভয় পক্ষ মেনে নিলেও ১৯৯৫ সালে আকস্মিকভাবে দুফরাজ বিবি তার কথিত স্বামী তোফাজ্জল মিয়া ওরফে আচানক মিয়ার প্ররোচনায় দলিল অস্বীকার করে আমার বাবার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে।তোফাজ্জল মিয়ার নির্দেশে দুফরাজ বিবি অতিরিক্ত জমি ও চলাচলের জন্য আমাদের বসত বাড়ির উপর দিয়ে চলাচলের রাস্তা দাবি করে। এছাড়াও নগদ অর্থ দাবি করে হুমকি দিচ্ছিল।
তাদের কথা না শুনার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করতে থাকে।আমার বাবার সরকারি চাকরি বাতিলের চেষ্টা ও করেছিল ওই অভিযুক্ত পক্ষটি।
ওই দলিল কে অস্বীকার করে দলিল টি জাল মর্মে দুফরাজ ও তার পুত্র মোঃ জুয়েল আহমেদ আলাদা আলাদাভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যালয়ে অভিযোগ করেছে।
এ ব্যাপারে সরদার মোজাহিদ মিয়া জানান,উভয় পক্ষের মধ্যে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ আছে।আর এই বিরোধের কারণে নিরীহ শিক্ষককে হয়রানি করছে দুপরাজ বিবি ও তার লোকজন। এ ব্যাপারে মজলিশপুর গ্রামের মুরুব্বি নূর মামদ বলেন, ওই মহিলা ভালোনা। মামলাবাজ। আচানকের পরোচনায় ওই মহিলা মিথ্যা মামলা করে ওই শিক্ষককে হয়রানি করছে। এ ব্যাপারে পল্লী চিকিৎসক উমেদ আলী জানান, ১৯৯৫ সাল থেকে মিথ্যা মামলা দিয়ে শিক্ষককে হয়রানি করছে দুপরাজ বিবি ও তার কথিত স্বামী তোফাজ্জল। সে একজন খারাপ প্রকৃতির লোক।
অযথা নিরীহ শিক্ষককে হয়রানি বন্ধ করা উচিত।
এ ব্যাপারে শিক্ষক আব্দুল মালিক বলেন, আমি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। আমার বয়স ৬৮ বছর। আমাকে ওই মহিলা ও তার পঞ্চম স্বামী তোফাজ্জল মিয়া হয়রানি করতেছে। আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজনের কাছে প্রতিকার কামনা করছি।